তামাক সেবন মানে মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া-ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

তামাক সেবন মানে মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া-ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, তামাক সেবন মানে মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী তামাক । তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু, অসুস্থতা এবং তামাকের অন্যান্য বিধ্বংসী প্রভাব নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হলেও তামাক কোম্পানিগুলো সুচতুরভাবে তাদের এই চরিত্র আড়াল করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, তামাক চাষ, তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহার করার আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে ভালো করে জানা সত্ত্বেও তামাক কোম্পানিসমূহ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে, এটা দুঃখজনক।

 

প্রতিমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র (ডর্প) আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে নীতিনির্ধারকের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন ২ কোটি ২০ লাখ এবং ধূমপায়ী ১ কোটি ৯২ লাখ। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ কোটি ৮৪ লাখ। তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। দৈনিক তামাকের প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে ৪৪২ জন। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া প্রস্তুত ও প্রয়োজন মাফিক তার সংশোধন করেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই আইনে তামাকের প্রসার রোধে যুক্তিসংগত প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং আজকের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে দ্রুত আইনটি পাশ হলে তামাকজাত পণ্য সেবনের হার অনেকাংশে কমে আসবে।

 

ডর্পের নির্বাহী উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মোঃ আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক কাজী জেবুন্নেসা বেগম,জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার এবং বিসিআইসি'র সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডর্পের প্রতিষ্ঠাতা সিইও এএইচএম নোমান ।

 

 

 

সূত্রঃপিআইডি