‘একটু ঝড়েই তার পুড়ে যায়, খুঁটি পড়ে যায়’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সমালোচনা করে বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আকাশ ঘোলা হলেই ওনাদের চোখও ঘোলা হয়ে যায়!
তিনি বলেন, গ্রামে একটু ঝড়-বাদল হলেই বিদ্যুতের তার পুড়ে যায়, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আর শহরে হয় গ্রিডের ক্যাপাসিটি থাকে না, নয় ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয়। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সেবার মান বাড়াতে হবে।
শনিবার (০৫ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘প্রজেক্ট ফরমুলেশন, ইম্প্লিমেনটেশন, মনিটরিং অ্যান্ড এভিলেশন (পিআইএমই)’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বিপিএমআই-এর রেক্টর মাহবুব-উল-আলম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, পিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ এবং আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন।
নসরুল হামিদ বলেন, আমি দায়িত্বে আসার আগে দেশে ১১ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকতো না। এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ রয়েছে। এই বছরে জাতীয় গ্রিডে আরো ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোর কারণে জনগণ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ তৈরি করছি কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারি না।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সবাই অভিযোগ করছে, এক ঘণটা, দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। পুরান ঢাকায় যা তা অবস্থা। সাপ্লাইয়ারদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয়ে গেছে, ক্যাবল নষ্ট গেছে।
বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ইন্ডাস্ট্রিগুলো বিদ্যুৎ থেকে শিফ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট কোম্পানি ৩-৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় না। আরো ৩-৪ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ নিতে চাচ্ছে না। তারা বলছে, কেপ্টিভ পাওয়ার নেব। কারণ, পিডিবি, আরইবি বিদুৎ দিতে পারছে না। কারণ তাদের গ্রিডের ক্যাপাসিটি নেই। ট্রান্সফরমারের ক্যাপাসিটি নেই।
আকাশ ঘোলা হলেই ওনাদের চোখও ঘোলা হয়ে যায়
নসরুল হামিদ জোর দিয়ে বলেন, যেভাবে আপনারা মেইটেন্যান্স করছেন, কাস্টমার সার্ভিস দিচ্ছেন, সেভাবে চলবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেন। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশনের জন্য চিন্তা করেন না। এটা এখন খুব দরকারি। গ্রামাঞ্চলে একটু ঝড়-বাদল হলে, রাস্তায় কিংবা বাড়িতে তার পুড়ে যায়, খুঁটি পড়ে যায়। এতে কারো বাড়ি পুড়ছে, নয় তো ভেঙে যাচ্ছে। কোনো প্ল্যানিং নেই।
নসরুল হামিদ জোর দিয়ে বলেন, যেভাবে আপনারা মেইটেন্যান্স করছেন, কাস্টমার সার্ভিস দিচ্ছেন, সেভাবে চলবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ছবি ও সংবাদঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম